হুমকীর মুখে কারা???

কোন্ দেশে আমরা বসবাস করছি যেখানে বাক সাধীনতা বলে কিছুই নেই। কোন কিছু বলতে যাবো তাহলে হুমকির সম্মুখীন হবো। মেরে ফেলবে, কেটে ফেলবে এই ধরনের হুমকি এখন আমাদের প্রতিদিনের ব্যাপার। তাছাড়া  একের পর এক “ব্লগার” হত্যার ঘটনা  কিন্তু এখন  সারা বিশ্বেই আলোচিত৷

 

সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্লগারদের জীবন সবসময় হুমকির মুখে৷ আপনি কিছু লিখবেন কিংবা মতামত প্রকাশ করবেন, ধরে নেন জঙ্গি বা ধর্মীয় মৌলবাদীদের হাত থেকে নিস্তার নেই, আজকে কিংবা কালকে আপনি চাপাতির স্বীকার হবেন। আর সেই সাথে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এই রকমই হয়ে গেছে। কিন্তু দেখুন যেই সব ধর্মীয় মৌলবাদীরা ধর্মের নামে ভন্ডামী করে যাচ্ছে কিংবা ধর্মীয় ব্যবসা করছে তারা  তো হুমকির সম্মুখীন হয় না, তারা তো চাপাতির স্বীকার হয় না।তাহলে আমরা সাধারন জনগন কেনো? আমি জানি এই প্রশ্নের উত্তর কখনই পাওয়া যাবে না। একের পর ব্লগার চাপাতির স্বীকার হলো কিন্তু আমার দেশে এর কোনো বিচার হলো না। তাছাড়া বিচার আশা করাও উচিত নয় কারন আমাদের সরকারও তাদের হাতেই জিম্মি যারা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে যারা মত প্রকাশ করতে ভয় পায় না। ঐতিহাসিক ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কতজন ব্লগার কিংবা অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট খুন হয়েছেন তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

 

কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছুই বলার নেই। ঐ যে বললাম না তারাও বন্দি মৌলবাদীদের হাতে। সরকার যেখানে এই সব হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর কথা সেখানে উল্টো বলে এই সব মত প্রকাশ কিংবা লেখালেখি থেকে দুরে থাকতে। কিন্তু দেখুন সরকারও ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ গড়ায় বিশ্বাসী৷ আমার তো মনে হয় সরকারও অভিনয় করে যাচ্ছে আমাদের সাথে। কথায় কথায় বলে ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ চাই আদৌও কি তাই। যদি তাই হয় তাহলে আজকে আমরা কেনো হুমকির সম্মুখীন, কেনো আমরা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারি না???

Leave a comment